shono
Advertisement

হংকংয়ে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, ‘খোলা হাওয়া’য় রাশ টেনে আজব দাবি চিনের

হংকং আইনসভার নির্বাচনে বেজিংপন্থীদের জয়।
Posted: 02:04 PM Dec 20, 2021Updated: 02:13 PM Dec 20, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ে (Hong Kong) গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ওই প্রদেশে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা ফিরেছে। একের পর এক গণতন্ত্রকামীদের জেলে পুরে এমনটাই দাবি করেছে চিন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার হংকং আইনসভার নির্বাচনে বেজিংপন্থীদের জয়ের পর এক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে কমিউনিস্ট দেশটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত তাইওয়ান, রেগে লাল চিন]

গতকাল বিক্ষোভ ও ভোট বয়কটের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় হংকং লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচন। প্রত্যাশামতোই জয়লাভ করেছে চিনপন্থীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৯০টি আসনের মধ্যে ৮২টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। কারণ, প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশটির একের পর এক গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের জেলে পুরেছে চিন। ২০২০ সালে হংকংয়ের জন্য পাশ হওয়া হওয়া বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে অধিকাংশ মানুষই ভোট দেননি। পাশাপাশি, বেজিংয়ের ‘দেশপ্রেমে’র মানদণ্ডে উতরতে না পেরে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি অনেকেই। আর স্বশাসিত হংকংয়ের ‘খোলা হাওয়া’ থামাতে জিনপিং প্রশাসনের যে পরিমাণে নিপীড়ন চালিয়েছে তা বিশ্বের জানা। এহেন সময়ে গণতন্ত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ছবি আঁকার যে চেষ্টা করছে বেজিং তা অবাক করার মতো।

কয়েকদিন আগেই তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় এবার দোষী সাব্যস্ত করা হয় ধনকুবের জিমি লাইকে। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে গণতন্ত্রকামী প্রাক্তন সাংবাদিক গাইনেথ হো এবং প্রাক্তন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী চাউ হাং তুংকে। বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে আগেই গ্রেপ্তার করা হয় মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ তিনি। বরাবরই বেজিংয়ের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ‘Next Digital’ মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার লাই। চিন-বিরোধী খবর প্রকাশের জন্য বছরখানেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিমির সংস্থার সংবাদপত্র ‘অ্যাপল ডেইলি’-কে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন।

[আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকামীদের জঙ্গি তকমা চিনা পুলিশের, হংকংয়ে রেহাই পাচ্ছে না স্কুল পড়ুয়ারাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement