সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) অশান্ত। এর মধ্যেই খবর, কাবুলে আটকে থাকা ইউক্রেনের (Ukrain) নাগরিকদের উদ্ধার করতে যাওয়া বিমান অপহরণ করল অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা। যাত্রী-সহ বিমানটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ইরানে। মঙ্গলবার এই খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছেন উপবিদেশমন্ত্রী ইয়েভজেনি ইয়েনিন। তাঁর কথায়, “গত রবিবার আমাদের বিমানটিকে অপহরণ (Flight Hijack) করে কয়েকজন। আর আজ বিমানটি সম্পূর্ণভাবে ছিনতাই করে ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কাবুল থেকে যাদের ফেরানো হচ্ছিল, তাদের কয়েকজন ছিলেন বিমানে। এই বিমান অপহরণের জন্য আমাদের উদ্ধারকাজের পরবর্তী পদক্ষেপও ব্যাহত হচ্ছে।” অসমর্থিত সূত্রে খবর, বিমানটিতে ৮৩ জন যাত্রী ছিলেন।
ইউক্রেনের বিদেশ উপমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা সশস্ত্র ছিল। অপহরণের পর ঠিক কী ঘটেছে, সেসম্পর্কে কোনও ধারণাই স্পষ্ট হচ্ছে না কিয়েভের (Kiev)। তবে অনুমান, যাত্রী সেজে বিমানে উঠেই ছিনতাই করা হয়েছে। রাডারের শেষ রিডিং অনুযায়ী, তা ইরানে (Iran) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেভা নিজে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানিয়েছেন ইয়েনিন। আন্তর্জাতিক নীতি মেনে সর্বস্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যে কোনওভাবেই হোক, বিমানটিকে ফিরিয়ে আনার মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে ইউক্রেন।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: মিষ্টি কথার আড়ালে একই রকম ভয়ংকর তালিবান, ভয়ে কাঁপছে আফগান সংখ্যালঘুরা]
যদিও ইরানের দাবি, বিমানটি জ্বালানি ভরার জন্য সেখানে নেমেছিল। পরে আবার ইউক্রেনে ফিরে গিয়েছে। তবে কারা এই বিমান ছিনতাই করল, তা নিয়ে একাধিক জল্পনা উসকে উঠছে। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই কাজ তালিবানের বলে প্রাথমিক সন্দেহ হলেও, ইউক্রেনের চেচেনপন্থী জঙ্গি কিংবা ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও এ কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। গত রবিবার বেশ কয়েকজন যাত্রীকে নিয়ে আফগানিস্তান থেকে কিয়েভে ফিরেছে ইউক্রেনের এক উদ্ধারকারী বিমান। ১২ জন সেনা সদস্য ছাড়াও বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকও ছিলেন এই তালিকায়। এখনও কাবুলে আটকে রয়েছেন শতাধিক ইউক্রেনীয়।