সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরেই জঙ্গি হামলা! এমনটাই ঘটল পাকিস্তানের পেশওয়ারে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দপ্তরের ভিতরে গুলি চলেছে। বিস্ফোরণের আওয়াজও পেয়েছেন স্থানীয়রা। কারা কোন উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অন্তত দু'জন ফিদায়েঁ জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। পাক সংবাদপত্র ডন সূত্রে খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে এই জঙ্গি হামলায়।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার সকালে পেশোয়ারের আধাসেনা সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি। মূল ফটকের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় প্রথম ফিদায়েঁ জঙ্গি। সম্ভবত দু'টি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সে। দ্বিতীয়জন ঢোকে ঘাঁটির ভিতরে। সেখানে গুলি চালানোর পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আত্মঘাতী জঙ্গি, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান। আপাতত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। চলছে তল্লাশি। আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি দপ্তরে লুকিয়ে রয়েছে বলেও অনুমান আধাসেনা কর্তাদের।
পেশোয়ার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি হামলায় তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দুই আত্মঘাতী জঙ্গিও মারা গিয়েছে। সোমবার সকালের এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। বিস্ফোরণের আওয়াজ, গুলি চালানোর আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ওই এলাকা থেকে। আপাতত বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত তিন আত্মঘাতী জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এই পেশোয়ারেই জঙ্গি হামলার বলি হয়েছিল নিরীহ শিশুরা। পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে গুলি চালায় ৬ টিটিপি সদস্য। ১৩২ জন স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যু হয় সেই হামলায়। মোট ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে পাক সেনার অপারেশনে ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক অতীতেও টিটিপি হামলায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তান। আধাসেনা ঘাঁটিতে হামলার নেপথ্যেও তারাই রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
