সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মায়ানমারের (Mayanmar) গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আং সান সু কিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় মায়ানমারের কারাবন্দি নেতা সু কিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে জুন্টা সরকারের তরফে জানা গিয়েছে।
মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, “যেহেতু আবহাওয়া এখন অত্যন্ত গরম তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এটি শুধুমাত্র আং সান সু কির (Aung San Suu Kyi) জন্য নয়, যাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি।” মায়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার নেপিদোর তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সি সু কি সরকারকে উৎখাত করা হয়। এর পর থেকে মায়ানমারের সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে রেখেছে।
[আরও পড়ুন: প্রেম ভাঙায় আত্মঘাতী হলে দায়ী নয় সঙ্গী, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের]
রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত নানা অপরাধে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন আং সান সু কি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু কির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাঁর মাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন সু কি। তাঁর হাত ধরেই ২০১০ সালে মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরেছিল। বিশ্বনেতারা এবং মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতারা বারবারই সু কিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।