সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা এবং শিশুদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করতে চাইছে বালোচ বিদ্রোহীরা। ফলে উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করেও বিদ্রোহীদের নিকেশ করতে পারছেন না। সবমিলিয়ে বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক হওয়ার পর একদিন কেটে গেলেও পণবন্দিদের সকলকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে ৩০ জন বিদ্রোহীকে খতম করা হয়েছে বলে পাক নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর।

মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। সকাল ৯টা নাগাদ কোয়েটা থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এরপর দুপুর নাগাদ প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। গোটা ঘটনার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুক্ষ পাহাড়ি অঞ্চল থেকে যাওয়ার সময় হঠাৎ ট্রেনের সামনে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় ট্রেনটি।
যাত্রীদের পণবন্দি করার পাশাপাশি ট্রেনে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের খুন করে বিদ্রোহীরা। পণবন্দিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করলে সকলকে গলা কেটে খুন করা হবে বলে হুমকিও দেয় তারা। তবে সেই হুমকি উপেক্ষা করেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে পাক সেনা-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী। আপাতত ১৫৫ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত। এয়ারলিফট করে তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কিন্তু মহিলা এবং শিশুদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে বিদ্রোহীরা। ফলে সরাসরি বিদ্রোহীদের আক্রমণ করতে পারছে না উদ্ধারকারী দল। সূত্রের খবর, শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পণবন্দিদের কাছে বিদ্রোহীরা দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে উদ্ধারকারীরা তাদের আক্রমণ করতে পারছেন না। যদিও পাক সেনার মতে, প্রত্যেক বিদ্রোহীকে খতম করাই তাদের উদ্দেশ্য। যদিও শোনা যাচ্ছে, পণবন্দিদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। সেখান থেকে সকলকে উদ্ধার করাটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ হবে বাহিনীর কাছে।