সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এখন সব কিছুই নির্ভর করছে রাশিয়ার উপর। তাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজি করাতে তড়িঘড়ি মস্কোয় দূত পাঠাচ্ছে আমেরিকা। এমনটাই জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাহলে কি এবার হোয়াইট হাউসের মধ্যস্থতায় থামতে চলেছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ?

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, "আমাদের প্রতিনিধিরা এখনই রাশিয়া যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলার জন্য। আমরা আশা করছি, মস্কো এই প্রস্তাবে রাজি হবে। আমরা যদি রাশিয়াকে শান্তির পথে ফেরাতে পারি তাহলে এই ভয়াবহ রক্তপাত ৮০ শতাংশ বন্ধ করতে পারব।" তবে তিনি নিজে কবে এই ব্যাপারে সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন তা জানাননি। তবে তাঁর আশা রাশিয়াও এই চুক্তিতে সম্মতি জানাবে।
এদিকে, এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছু জানায়নি ক্রেমলিন। জেলেনস্কি শান্তির পথে রাজি হওয়ার পর তারা শুধু বলেছিল, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পর্কে আগে সমস্ত কিছু আমেরিকার থেকে জানা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগেই বলে দিয়েছেন, তিনি রাশিয়াকে বিশ্বাস করেন না। ফলে এখন সকলেই তাকিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে চাপে ফেলে জেলেনস্কিকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি করিয়েছে আমেরিকা, সেভাবে কি রাশিয়াকেও রাজি করাতে পারেবন ট্রাম্প?
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আর সেখানেই আলোচনা চলাকালীন বাদানুবাদে জড়ান দুই রাষ্ট্রনেতা। তুমুল বচসার পর জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউস ছাড়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তারপরেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর মেলে, ইউক্রেনের জন্য সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করছে আমেরিকা। যতদিন পর্যন্ত না শান্তি স্থাপনের জন্য ইউক্রেনের নেতারা রাজি হবেন, ততদিন পর্যন্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে। কিন্তু এরপর ফের সেই জট খুলতে চেষ্টা করেন জেলেনস্কি। অবশেষে তিনি শান্তির লক্ষ্যে এক কদম বাড়িয়েছেন। সৌদি আরবের জেদ্দার বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন।