shono
Advertisement

Breaking News

BBC

তথ্যচিত্রে ভাষণ ‘সম্পাদনা’ করে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি

কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি।
Published By: Subhodeep MullickPosted: 02:48 PM Nov 14, 2025Updated: 02:48 PM Nov 14, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ সম্পাদিত করে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থা ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশন বা বিবিসির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়। কযেকদিন আগেই দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন বিবিসির দুই শীর্ষকর্তা। এবার সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইল বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা এই সংবাদ সংস্থা। তবে কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি।

Advertisement

বিবিসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সম্পাদিত ওই অংশটি মনে হয়েছিল টানা একটি  ভাষণ। আসলে সেটি সেরকম ছিল না। গোটা ভাষণের বিভিন্ন দিকগুলি জুড়ে এটি বানানো হয়েছিল। ওই সম্পাদিত অংশটি দেখে মনে হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন।’ বিবিসি আরও জানিয়েছে, কোনও প্ল্যাটফর্মে ওই তথ্যচিত্রটি পুনঃপ্রচারের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।     

ঘটনার সূত্রপাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক তথ্যচিত্র ঘিরে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়েছিল। তবে আঙুল ওঠে সে বছর নির্বাচনে সদ্য পরাজিত তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। বিবিসির ট্রাম্পকে যে তথ্যচিত্র সম্প্রচার করেছে, তাতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে কার্যত ‘ভিলেন’ প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেসময় ট্রাম্পের ভাষণ এমনভাবেই সম্পাদনা করা হয়েছিল যাতে মনে হয়, ওই হামলায় প্রত্যক্ষ উসকানি ছিল তাঁর। আর এখানেই আপত্তি হোয়াইট হাউসের।

সূত্রের খবর, বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লেভিট। তাঁর দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না ট্রাম্পের। তিনি বরং ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তাহলে সেই বক্তব্য কেন সম্পাদনা করে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিবিসি? মাসের পর মাস এনিয়ে চাপ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিবিসির দুই শীর্ষ আধিকারিক ইস্তফা দেন। দু’জনই আলাদাভাবে জানান, ওই ঘটনা তাদের সম্পাদকীয় নীতির পরিপন্থী। এবার ট্রাম্পের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাইল বিবিসি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ সম্পাদিত করে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থা ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশন বা বিবিসির বিরুদ্ধে।
  • এই নিয়ে জোর বিতর্ক হয়।
  • এবার সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইল বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা এই সংবাদ সংস্থা।
Advertisement