সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলেনি জনাদেশ। তাই সুযোগ পেয়েও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চান না বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। কোনও বিশেষ মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েও মাথাব্যথা নেই। উল্লেখ্য, ত্রিশঙ্কু পাকিস্তানে এখনও সরকার গঠন হয়নি। তার মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, সেদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
প্রাপ্ত আসনের নিরিখে সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরেই থামতে হয়েছে তাঁদের। তার পরে পাকিস্তানে (Pakistan) সরকার গড়তে পিপিপির সঙ্গে হাত মেলায় পিএমএল(এন)। বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানে জোট সরকার গড়া প্রায় নিশ্চিত। যদিও ফলপ্রকাশের পর সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও এখনও সরকার গড়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি দুই দল।
[আরও পড়ুন: নাভালনির শোকসভা পালন বেআইনি! শতাধিক অনুগামীকে জেলে পাঠাল রাশিয়া]
জোট গঠনের পরেই প্রশ্ন ওঠে, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? দুই দলেরই দাবি, তাঁদের পার্টির নেতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। সেই মতো নওয়াজ শরিফের দলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সরকারের প্রথম তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। পরের দুবছরের জন্য কুরসিতে বসবেন পিপিপি নেতা বিলাওয়াল। কিন্তু সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেন প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পুত্র।
নির্বাচনের পর ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে সিন্ধ প্রদেশে একটি জনসভায় যোগ দেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল। সেখানেই বলেন, “শেষ দুবছরের জন্য আমাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পিএমএল(এন)। কিন্তু আমি না বলেছি। কারণ এইভাবে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। যদি প্রধানমন্ত্রী হতেই হয়, তাহলে পাকিস্তানের মানুষের ভোটে জিতে এসে হব।” তবে এই জনসভা থেকেই বিলাওয়াল জানান, আসিফ আলি জারদারিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জারদারি প্রেসিডেন্ট হলে দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শান্ত হবে, মত বিলাওয়ালের।