সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১ জানুয়ারি রিপাবলিকান নেত্রী তথা নিউ ইয়র্কের কাউন্সিলওম্যান ইন্না ভার্নিকভের আমন্ত্রণে নিউ ইয়র্কে আসতে পারেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ঘটনাচক্রে ওই দিনই নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে শপথ নেবেন জোহরান মামদানি। পুরনো কথা রেখে কি সেদিনই তাহলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন মামদানি? এই প্রশ্নটিই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
আসলে মাস দুয়েক আগে নির্বাচনী প্রচারে মামদানি এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইজয়ায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমি সেটিকে সম্মান করতে চাই। যদি আমি নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হই এবং তখন যদি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শহরে পা রাখেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেব।” উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার জন্য গত বছর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধ এবং সাধারণ জনগনের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এখানে প্রশ্ন উঠছে, চাইলেই কি মামদানি গ্রেপ্তার করতে পারবে নেতানিয়াহুকে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না আমেরিকা। তাই মার্কিন ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনও একতিয়ার নেই। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু ইজরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান। আর রাষ্ট্রপ্রধানের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা থাকে। অন্যদিকে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, আমেরিকার ফেডারেল সরকার দেশের বৈদেশিক বিষয়গুলির উপরে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এর অর্থ নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশ নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার বা আটক করলেও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারে ফেডারেল গোয়েন্দাসংস্থা গুলি।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন মামদানি। তিনিই হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। পাশাপাশি, নিউ ইয়র্কের গত ১০০ বছরের ইতিহাসে ৩৪ বছর বয়সি মামদানিই হবেন কনিষ্ঠতম মেয়র।
