সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার থেকে টাকা নেয়। ভারতের থেকে জুতো। অগত্যা জুতোই নিক পাকিস্তান। তাও আবার ব্যবহৃত, ছেঁড়া চটি। এমনটাই সিদ্ধান্ত অনাবাসী ভারতীয়দের। ওয়াশিংটন-ডিসিতে পাক দূতাবাসের সামনে ‘চপ্পলচোর পাকিস্তান’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হলেন তাঁরা।
[ কিমের সঙ্গে কথা বলতে আপত্তি নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ]
পাক মুলুকে বন্দি প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদব ও তাঁর পরিবারকে তীব্র অপমান করেছে পাকিস্তান। দীর্ঘ টালবাহানার পর গতবছর ২৫ ডিসেম্বর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মানবিকতার নামে তীব্র অমানবিকতার নিদর্শন রাখে পাকিস্তান। পুরু কাচের ওপার থেকে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয় তাঁদের। তাও আবার মারাঠিতে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ইন্টারকমেও টেপ আটকানো ছিল। স্পিকারে যাতে সকলে কথা শুনতে পান, তার ব্যবস্থাও করেছিল। এদিকে সাক্ষাতের আগে নগ্ন তল্লাশি নেওয়া হয় কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের। কুলভূষণের স্ত্রীর হাতের চুড়ি, মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়। তাঁর জুতোটিও নিয়ে নেওয়া হয়। পরে বহুবার তা চেয়েও ফেরত পায়নি ভারত। এ নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেয় ভারত। চাপের মুখে পাকিস্তান জানায়, কুলভূষণের স্ত্রী চেতনকুলের জুতোতে ধাতব কিছুর সন্ধান মিলেছিল। তাই সে জুতো ফেরত দেওয়া হয়নি। তবে বিকল্প জুতো তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় তৈরি হয়েছে নয়া #ChappalChorPakistan হ্যাশট্যাগ। তার উপর ভিত্তি করেই প্রতিবাদে সরব হলেন অনাবাসী ভারতীয়রা। একগাদা ছেঁড়া চটি পাক দূতাবাসের সামনে জড়ো করেন তাঁরা। প্রতিবাদীরা জানাচ্ছেন, বিপর্যস্ত একজন মহিলার জুতোও যখন পাকিস্তান ছাড়তে চায় না, তখন এগুলো নিশ্চয়ই পাক অফিসারদের কাজে লাগবে। তাঁদের দাবি, পাকিস্তান তো আমেরিকার থেকে টাকা নেয়, আর ভারতের থেকে জুতো। সেটাই যখন তাঁদের ইচ্ছে, তখন তাঁরা তাই-ই করুক। ভারতীয় প্রতিবাদীদের সঙ্গে ছিলেন বালোচের কিছু বাসিন্দাও। তাঁরাও জানান, পাকিস্তান এই ধরনের ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত। কুলভূষণ কাণ্ডে দেশের মধ্যে তো ক্ষোভ ছিলই। দেশের বাইরেও যে বিক্ষোভ কতখানি, এই প্রতিবাদ তা প্রমাণ করল।
The post কুলভূষণের পরিবারকে অপমান, পাক দূতাবাসের সামনে ছেঁড়া চটি নিয়ে প্রতিবাদ appeared first on Sangbad Pratidin.