সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুল্কযুদ্ধ ও অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয়ের কারণেই চিনের উদ্বেগ বেড়েছে। কিন্তু এবার আচমকাই ট্রাম্পের প্রতি যেন অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে উঠেছে চিনা সংবাদমাধ্যম। হঠাৎ কী হল?

আসলে ট্রাম্প সম্প্রতি 'ভয়েস অফ আমেরিকা', 'রেডিও ফ্রি এশিয়া' এবং মার্কিন আনুকূল্যে চলা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলি বন্ধ করে দিচ্ছে। এতেই প্রবল উচ্ছ্বসিত বেজিং। কিন্তু কেন?
আসলে, বলা হয় চিনা সরকার নিজেদের সংবাদমাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করে বরাবরই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে গিয়েছে। সেই প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধস্বরই হয়ে উঠেছিল 'ভয়েস অফ আমেরিকা', 'রেডিও ফ্রি এশিয়া'। তারা বরাবরই চিনের যাবতীয় আগ্রাসন যথা তাইওয়ানে হামলা, উইঘুরদের প্রতি নির্যাতন-সহ নানা গোপন এজেন্ডার কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। মূলত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রোধের মতো ইস্যুগুলি তুলে ধরে সুর চড়িয়েছিল এই সংবাদমাধ্যমগুলি। কিন্তু এবার ট্রাম্পের কলমের আঁচড়ে সব বদলে গেল। আর এই সংবাদমাধ্যমগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যগুলির দ্বারা প্রচারিত নানা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে কোনও কণ্ঠস্বর সেই অর্থে রইল না। স্বাভাবিক ভাবেই চিন বেজায় খুশি ট্রাম্পে এহেন সিদ্ধান্তে।
গত সোমবার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র 'গ্লোবাল টাইমস'-এর সম্পাদকীয়তে 'ভয়েস অফ আমেরিকা'কে 'মিথ্যের কারখানা' বলে তোপ দেগেছে। জানিয়েছে, এতকাল দক্ষিণ চিন সাগরের সমস্যা থেকে তাইওয়ান, হংকং, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সৃষ্টি হওয়া অতিমারী কিংবা চিনা অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে 'ভুয়ো খবর' ছড়িয়েছে 'ভয়েস অফ আমেরিকা'র মতো সংবাদমাধ্যমগুলি। লেখা হয়েছে, 'চিন সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যার উপরই ভয়েস অফ আমেরিকার আঙুলের ছাপ রয়েছে।' সেই সঙ্গেই দাবি করা হয়েছে, এবার অচিরেই 'ভয়েস অফ আমেরিকা'র এই ধরনের প্রতিবেদনগুলি সকলের হাসির খোরাক হয়ে উঠবে।