সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদলীয় চিনের (China) সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। বিশেষ করে করোনা আবহে সত্যি গোপন করতে বেজিং যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তা গোটা বিশ্বই জানে। এবার কমিউনিস্ট দেশটির মুখোশ খুলে দিয়েছে একাধিক গোপন নথি।
[আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা! নেপালের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস চিনের]
সম্প্রতি, চিনে করোনা মহামারী নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে CNN। সেখানে স্থানীয়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হযেছে যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন। স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। বলে রাখা ভাল, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ‘Hubei Provincial Centre for Disease Control and Prevention’-এর এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পাতার একটি গোপন রিপোর্ট সংগ্রহ করে CNN। তারপর অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে সেগুলির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির। ওই রিপোর্টেই সাফ দেখা জায় অক্টোবর ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত খবর চেপে গিয়েছে চিন সরকার।
অনেকেই মনে করেন ইউহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকের দাবি, ইউহানের (Wuhan) একটি সামুদ্রিক মাছের ও মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। মারণ করোনা ভাইরাসের ‘উৎসস্থল’ হিসেবে চিহ্নিত ইউহান শহরের বাসিন্দাদের একাংশের হাল শোচনীয়। প্রিয়জনকে হারানোর পাশাপাশি সরকারের হাতে বঞ্চনারও শিকার হয়েছেন তাঁরা। চিনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে জিনপিং প্রশাসনের মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে এসেছে কমিউনিস্ট দেশটির ধাপ্পা।