সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচলের দাবি থেকে কখনওই সরবে না চিন। আগামী দিনে বেজিংয়ের যা যা লক্ষ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতের এই রাজ্য দখল। মার্কিন কংগ্রেসে সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট জমা দিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর। পেন্টাগনের দাবি, বেজিং ঠিক করেছে, অরুণাচল নিয়ে তারা কোনও রকম সমঝোতায় যাবে না। ভারতের এই অংশ তারা নিয়েই ছাড়বে। এই মার্কিন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই আবার নতুন করে ভারত-চিন বিবাদের আশঙ্কা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
তবে শুধু অরুণাচলই নয়। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, চিনের নজরে তাইওয়ানও রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা। বেজিংয়ের লক্ষ্য, ২০৪৯ সালের মধ্যে এই সমস্ত এলাকাকে নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলতে। সেই লক্ষ্যেই তারা যাবতীয় পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অরুণাচল তাদের অংশ বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে চিন। ভারত এবং চিনের মধ্যে সংঘাতের অন্যতম কারণই হল অরুণাচল। চিন প্রায়শই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকে। গত বছরই চিন অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নতুন নামের তালিকা প্রকাশ্যে এনেছিল। যদিও চিনের এই প্রচেষ্টা ভারত প্রত্যাখ্যান করে।
অরুণাচলের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং চিনের সীমান্ত- বিবাদের অন্যতম কারণই অরুণাচলের উপর বেজিংয়ের দাবি। ভারতের এই রাজ্যটি চিনের তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। বেজিং বরাবর দাবি করে, অরুণাচল ঐতিহাসিক ভাবে তিব্বতেরই অংশ। যদিও ভারত সেই দাবির বিরোধিতা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধের পাশাপাশি এই রাজ্যের জলসম্পদ ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
