সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তার অভিযোগে বিদ্ধ মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা (Miss Universe Pageant)। একসঙ্গে ছয় জন প্রতিযোগী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিবস্ত্র হতে বাধ্য করেছিলেন আয়োজকরা। শুধু তাই নয়, টপলেস অবস্থায় তাঁদের ছবিও তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রতিযোগীরা। ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) থেকে এহেন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে সেদেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার (Malaysia) মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাও।
ইন্দোনেশিয়া থেকে মিস ইউনিভার্স বেছে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছয় প্রতিযোগী। তাঁদের দাবি, মোট ৩০ জন প্রতিযোগী ফাইনালে উঠেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ফ্যাবিয়েন নিকোল গ্রোয়েনভেল্ডের মাথায় ওঠে মিস ইন্দোনেশিয়ার শিরোপা। কিন্তু প্রতিযোগিতা চলাকালীন ৩০ জন প্রতিযোগীকেই বিবস্ত্র হতে বলেন আয়োজকরা। শরীরে কোনও দাগ বা ক্ষত রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতেই এমন নির্দেশ বলে জানান অভিযোগকারীরা। তাঁদের টপলেস ছবি তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পাঁচজন।
[আরও পড়ুন: কেক কেটে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, নেটদুনিয়ার রোষানলে ‘ভারতীয় বধূ’ অঞ্জু]
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন মিস ইন্দোনেশিয়ার আয়োজকরা। আয়োজক সংস্থার ন্যাশনাল ডিরেক্টর পপি ক্যাপেলা বলেন, “আমাদের কাছে মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়া আয়োজনের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু শরীর পরীক্ষা করার নামে প্রতিযোগীদের যৌন হেনস্তার ঘটনার কথা আমার কানে আসেনি। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই।” প্রসঙ্গত, ক্যাপেলার সংস্থার হাতেই ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মিস ইউনিভার্স নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল।
যৌন হেনস্তার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মিস ইউনিভার্সের আয়োজকরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার আয়োজকদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। তার ফলে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেল। তবে এই দুই দেশের প্রতিযোগীদের আন্তর্জাতিক মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।