সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরান যেন স্কুল চত্বরে মারামারি করা দুই শিশু। তাই তাদের সঠিক পথে আনতে কখনও সখনও বকাঝকা করতেই হয়। ন্যাটো সম্মেলনের পরে হওয়া সাংবাদিক সম্মেলনে এমন ভাবেই 'লাইভ' টিভিতে তাঁর অশ্লীল শব্দচয়নের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তাঁকে 'ড্যাডি' সম্বোধন করেছিলেন ন্যাটো চিফ মার্ক রুটে। এবার হোয়াইট হাউস একটি ভিডিও শেয়ার করল, যেখানে ট্রাম্পকে সম্মেলন শেষে আমেরিকায় ফিরতে দেখা যাচ্ছে। আবহে বাজছে ২০১০ সালে আশারের গাওয়া 'হে ড্যাডি' গানটি। এই মূহূর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে চর্চায় ট্রাম্প ও তাঁর নতুন 'ডাকনাম'। তাতেই যেন গা ভাসাল হোয়াইট হাউস।
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে বুধবারই ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''ওরা খুবই মারামারি শুরু করেছিল। একেবারে স্কুলচত্বরে দুই শিশুর মতো। আপনারা তো জানেন, ওরা কেমন লড়ছিল। এসব ক্ষেত্রে প্রথমে দুই-তিন মিনিট লড়তে দিতে হয়। তাহলেই সহজে থামানো যায়।'' আর এরপরই তাঁর কথার মাঝখানে মার্ক বলে ওঠেন, ''আর সেক্ষেত্রে ড্যাডিকে এগিয়ে আসতেই হয়। কড়া কথা বলতে হয়।''
ট্রাম্প যার জবাবে বলেন, ''তোমাকে কঠোর ভাষা ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মাঝেই একটি নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করতেই হবে।'' উল্লেখ্য, এর আগে লাইভ অনুষ্ঠানে একটি অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। যাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার নিজের সেই আচরণের পক্ষেই যুক্তি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর সেই যুক্তির আবহেই পেলেন নতুন ডাকনাম! যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। বিতর্কও। পরে ট্রাম্প বলেন, ''উনি আদর করেই আমাকে ওই নামে ডেকেছেন। ড্যাডি, তুমি আমার ড্যাডি!''
আর এবার হোয়াইট হাউসের তরফেই প্রকাশ করা হল 'হে ড্যাডি' গানের আবহে ট্রাম্পের পদচারণার ভিডিও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই গানটি ব্যবহার করে যেন ট্রাম্প ন্যাটো কর্তার সম্বোধনকেই একপ্রকার সম্মতি দিলেন। এবং বিশ্ব কূটনীতিতে ট্রাম্পের 'পিতাসদৃশ' ভাবমূর্তিই যে হোয়াইট হাউস দেখতে চায় এবং দেখাতে চায়, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন ভিডিওটি প্রকাশ করে।
