সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা-বিধ্বস্ত টেক্সাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৯। ক্রমেই খারাপ হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি। বন্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ভূমিধসও। মৃত্যুমিছিলের পাশাপাশি নিখোঁজ প্রায় ১৮০ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে।
আমেরিকার টেক্সাসের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরেই বর্ষার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ৪ জুলাই (শুক্রবার) হঠাৎ সেখানে বন্যা দেখা দেয়। ভারী বর্ষণের জেরে প্লাবিত হয় গুয়াদালুপে নদী। সেদিনই টেক্সাসের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াদালুপে নদীর জল ২৬ ফুট বেড়ে যায়। যার জেরে বন্যা ধ্বংসাত্মক রূপ নেয়। সতর্কবার্তা দেওয়ার সময়ই মেলেনি। পরিবেশবিদরা বলছেন, টেক্সাসের ইতিহাসে এই বন্যা অন্যতম বড় বিপর্যয়।
এই বিপর্যয়ের মধ্যেই খারাপ খবর শুনিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েকদিন টেক্সাসের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বারবার ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কের কাউন্টির। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৮ জন শিশু-সহ ৮৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা সকলে একটি সামার ক্যাম্পে যোগ দিতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই বন্যাকে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১০০ বছরের ইতিহাসে এমন বিপর্যয় দেখা যায়নি।
