সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। তবে এই হামলা জঙ্গি হামলা কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু না জানানো হলেও তদন্তের গতিপথ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। সূত্রের মারফত আগেই জানা গিয়েছে, এই মারণ হামলার নেপথ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এবার আরও কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এল। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুরের বদলা নিতেই দিল্লিতে এই হামলার পরিকল্পনা করে জইশ। আসলে অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার অধিকাংশই ছিল মাসুদ আজাহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের। আর তার বদলা নিতেই তারা দিল্লিতে এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।
দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেয়াত দেওয়া হবে না। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল ঘাতক গাড়িটি। সেই সূত্র ধরেই ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। চলছে তদন্ত। সূত্রানুসারে, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রায় দু’বছর ধরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করছিল। আর এর থেকেই জইশের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। কারণ, এই জঙ্গি গোষ্ঠীকেই সম্প্রতি হামলায় এমন বিস্ফোরকই ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়িটি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। কেনেন জনৈক সলমন। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্রকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই। পরে সেখান থেকে মালিকানা বদল হয় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়ায় ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাদিম খান নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
