সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দহরম মহরমের চূড়ান্ত। গলায় গলায় ভাব। চিন-পাকিস্তানের অভিসার সর্বজনবিদিত। তবে সম্প্রতি, বেশ একটু মান-অভিমানের পালা চলছে ইসলামাবাদ ও বেজিংয়ের মধ্যে। তবে মুখ খুলে কেউই তা স্বীকার করছে না। এমনই পরিস্থিতিতে সরগরম চিনা সোশ্যাল মিডিয়া। পাকিস্তানে ঢুকে পড়ুক ‘লালফৌজ’। চালাক অভিযান। পাকিস্তানে দুই চিনা নাগরিকের হত্যার পর এই দাবিতে সরব হয়েছেন চিনা নেটিজেনরা।
[কৃপাণ রাখায় আমেরিকায় এক শিখ যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ]
চিনা সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি’তে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, ‘Weibo’-সহ সে দেশের মেসেজিং অ্যাপগুলিতে ক্রমশই জোরালো হচ্ছে পাকিস্তানে সৈন্য অভিযানের দাবি। চিনা নেটিজেনদের দাবি দুই দেশবাসীর হত্যার বদলা নেওয়া হোক। পাকিস্তানে ঢুকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি ডেরা। উল্লেখ্য, বালোচিস্তানে দুই চিনা নাগরিককে অপহরণ করে হত্যা করে আইএস। যদিও সরকারি ভাবে এখনও দাবিটির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়ায় কী করে পাক বিরোধী মন্তব্যের ঝড় উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই মনে করছেন, নাগরিকদের হত্যা ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ইসলামাবাদের উপর বেজায় চটে রয়েছে বেজিং। তবে সরাসরি ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরিবর্তে কৌশলে ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিল বেজিং।
গত ২৪ মে পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের জিন্না টাউন এলাকা থেকে দুজন চিনা নাগরিককে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। পাকিস্তানে চিনা ভাষার শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন ওই দুইজন। এই ঘটনার পরই আইএসআইএস ও লস্কর-ই-জাঙ্গভির মতো ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান নামে পাক সেনা। পাক সেনা দাবি করে, বালোচিস্তানে আইএসআইয়ের বেশ কয়েক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিকেশ করা হয়েছে ১২ জন জঙ্গিকেও। যদিও অপহৃত দুই চিনা নাগরিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ৮ জুন আইএসআইয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ওই দুই চিনা নাগরিককে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিন। প্রসঙ্গত, কোয়েটা-সহ বালোচিস্তানে বহু চিনা নাগরিকের বাস। এঁদের বেশিরভাগই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।
[পাক সেনার বিরোধিতায় করাচি প্রেস ক্লাবের সামনে বেনজির বিক্ষোভ]
The post পাকিস্তানে অভিযান চালাক ‘লালফৌজ’, দাবি ক্ষুব্ধ চিনা নেটিজেনদের appeared first on Sangbad Pratidin.