সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই, যেন বারুদের স্তূপের উপরে রয়েছে সবটাই। যে কোনও মুহূর্তে ফের ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এহেন পরিস্থিতি সদ্য মসনদে বসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েও যা পাঠাননি, সেই ২ হাজার পাউন্ড বোমা তিনি পাঠাচ্ছেন ইজরায়েলে।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
শনিবার নিজের সোশাল মিডিয়া 'ট্রুথ'-এ ট্রাম্প লেখেন, 'অনেক জিনিস যা ইজরায়েল অর্ডার করেছিল এবং যে জন্য অর্থও প্রদান করেছিল, কিন্তু বাইডেন পাঠাননি, এখন তা রওনা দিয়েছে!' প্রসঙ্গত, এই বোমাগুলি বাইডেনের আমলেই পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ডেমোক্র্যাট নেতা তা পাঠানোর ঝুঁকি নেননি। বাইডেন প্রশাসনের দাবি ছিল, ওই বোমা হাতে পেলে ইজরায়েল তা গাজায় সাধারণ মানুষের বসতির উপরে ফেলতে পারে। বিশেষ করে রাফার মতো অঞ্চলে ওই বোমা পড়লে বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাবেন। এমনই আশঙ্কা করে ইজরায়েলকে ওই মারণাস্ত্র দিতে রাজি হয়নি বাইডেন সরকার। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই সবুজ সংকেত দিলেন এই সিদ্ধান্তে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের মতোই বাইডেনও ইজরায়েলের বন্ধুই ছিলেন। গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ংকর অভিযোগের পরও তাঁরা সেই অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
এদিকে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনও অস্থির। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পণবন্দিকে মুক্তিও দিয়েছে হামাসা। ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাদের. জানিয়েছিলেন, ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ নেওয়ার আগেই যেন হামাস সব পণবন্দিদের ছেড়ে দেয়। শেষপর্যন্ত তা না হলেও শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। কিন্তু ইজরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ করেনি। তুলেছে সহযোগিতা না করার অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের পোস্ট ঘিরে 'সিঁদুরে মেঘ' দেখছেন অনেকেই।