সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তাহলে কি চিন-রাশিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে শঙ্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন দশক পর পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে আমেরিকা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তাঁর সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘অন্যান্য দেশগুলি ইতিমধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে দিয়ছে। তাই আমিও যুদ্ধ বিভাগকে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।’ তাঁর দাবি, এক সময়ে এই ভয়াবহ মারণ অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক শক্তির এগুলিকে ঘৃণা করতে তিনি। কিন্তু তাঁর কাছে এখন কোনও উপায় নেই বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রের শক্তির নিরিখে আমেরিকার পর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রাশিয়া। তারপর রয়েছে চিনি। ট্রাম্পের আশঙ্কা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই দুই দেশ আমেরিকার সমানে চলে আসতে পারে।
ইতিমধ্যেই পরমাণু শক্তিচালিত ড্রোন ‘পোসাইডন’-এর সফল পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খবরটি প্রকাশ্যে আনেন। এখানেই শেষ নয়। এক সপ্তাহ আগে, আরও একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। যার নাম ‘বুরেভেস্টনিক’। এটি ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে বলে জানায় মস্কোর প্রতিরক্ষা বিভাগ। ‘বুরেভেস্টনিক’-এর পরীক্ষার পর রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর হন ট্রাম্প। তিনি জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর কোনও চেষ্টাই নেই মস্কোর। কিন্তু তাঁর চোখরাঙানি উড়িয়ে নিজেদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী করাতেই মগ্ন ক্রেমলিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জেরে কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ট্রাম্প। তাই পালটা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনিও। আচমকাই মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
