সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলেনস্কির সঙ্গে তিক্ততা কাটিয়ে এবার ইউক্রেনের ঢাল হয়ে রাশিয়ার সামনে দাঁড়াচ্ছে আমেরিকা! রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক 'প্যাট্রিয়ট মিসাইল' দেওয়ার ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে টালবাহানায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তোপ দেগে তাঁর বার্তা, 'রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিন দিনের বেলায় ভালো ভালো কথা বলেন, আর রাত নামলেই বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়।'
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামাতে তৎপর হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক বার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ ও আধিকারিক পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে এই ইস্যুতে। তবে প্রতিবারই পুতিনের তরফে সদর্থক বার্তা দেওয়া হলেও যুদ্ধ থামেনি। বরং দিনে দিনে হামলার ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছে মস্কো। ফলে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা ট্রাম্পের গলার কাঁটা এখন রাশিয়া। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে এই ইস্যুতেই সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে পুতিনের মানসিকতায় তাঁকে হতাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বার্তা, ''আমরা ইউক্রেনে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র পাঠাবো। এই তালিকায় থাকবে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট মিসাইল।" তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমেরিকা দেবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ট্রাম্প। তাঁর বার্তা, ''প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর যাবতীয় খরচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেবে।"
এ প্রসঙ্গেই রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের মাটিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তার নিন্দা করে ট্রাম্প বলেন, ''পুতিন সত্যিই সকলকে অবাক করে দিয়েছেন। উনি দিনের বেলায় সুন্দর কথা বলেন, আর রাত নামলেই বোমা ছোড়েন। এটা ঠিক নয়। এটা আমি একেবারেই পছন্দ করছি না। রাশিয়ার হামলা থেকে বাঁচতেই আমরা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেব।" তবে আমেরিকা যে ইউক্রেনকে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে গত ২৫ জুন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সে আভাষ আগেই দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।
কীভাবে আমেরিকা নিজের খরচ বাঁচিয়ে ইউক্রেনকে এই অস্ত্র দেবে গত সপ্তাহেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ন্যাটোতে তাদের অস্ত্র পাঠাবে। সেখান থেকেই অস্ত্রের যাবতীয় খরচ বহন করে ইউক্রেনে পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "আমরা আর কোনও অস্ত্রের জন্য অর্থ ব্যয় করছি না।"
