সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের জেলে বন্দিদের মধ্যে ভয়াবহ লড়াই। ভয়ংকর এই ঘটনায় জেলের মধ্য থেকে অন্তত ৩১ জন বন্দির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ জন ও বাকিদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেলে দুই গ্যাংয়ের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে এই বন্দিদের খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জেলের মধ্যে এক বিরাট মাদক পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে। অস্ত্রপাচার ও জেলের মধ্যে থেকে দেশে অপরাধমূলক কাজকর্ম পরচালনা এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। এমনই কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরেই হত্যা করা হয় এতজন বন্দিকে। এদিকে প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, জেলের কিছু বন্দিকে গুয়াকিল নামে অন্য জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বন্দিদের একটি গ্যাং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ৩০০ জন ভয়ংকর অপরাধীকে অন্য জেলে রেফার করা হয়েছে। তবে জেলের অন্দরে এই বন্দির মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ইকুয়েডরের এই জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এই প্রথমবার নয়। ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বন্দি সংঘর্ষের জেরে এই জেলে অন্তত ৫০০ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ হিসেবে গণ্য করা হয় ইকুয়েডরকে। এখানকার প্রেসিডেন্ট নোবোয়া দেশের একাধিক উগ্রপন্থী সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ইকুয়েডরে হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন। সেখানে ডানপন্থী নেতা নোবোয়া তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লুইসা গঞ্জালেসকে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন। নির্বাচনের সময়ও ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে দেশে। বেকারত্ব এবং অপরাধ বর্তমানে ইকুয়েডরের প্রধান সমস্যা। তার মাঝে জেলের মধ্যে এই ভয়াবহ সংঘর্ষ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
