সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে ইরানের (Iran) নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ওই আন্তরিক বৈঠকে বন্ধু দেশটির নতুন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন তিনি। পালটা ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া নতুন অঙ্কের উত্তর খুঁজতেই জয়শংকরের তেহরান সফর।
[আরও পড়ুন: ফের যুদ্ধের মেঘ মধ্যপ্রাচ্যে, এবার ইজরায়েলে রকেট হামলা চালাল Hezbollah]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রপতি পদে শপথগ্রহণ করেন ইব্রাহিম রাইসি। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন জয়শংকর। তারপরই তেহরানে বৈঠকে নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকের পর নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে জয়শংকর লেখেন, “প্রেসিডেন্ট রাইসি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তাঁর সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দিয়েছি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করায় জোর দিয়েছেন তিনি।” উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইরান থেকে বিপুল পরিমাণের অপরিশোধিত তেল আমদানি করত নয়াদিল্লি। তারপর পরমাণু প্রকল্প রূপায়ণের কারণে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ইরান। ফলে আমেরিকার চাপে বর্তমানে তেল আমদানিতে রাশ টেনেছে নয়াদিল্লি। তবে কৌশলগত কারণে মধ্য এশিয়ায় নয়াদিল্লির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হচ্ছে তেহরান। ইসলামিক দেশটির চাবাহার বন্দরে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ভারত। তাছাড়া, আমেরিকার চাপ থাকলেও আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে মোদি সরকার। তাই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দু-দুবার তেহরানে যেতে হয়েছে জয়শংকরকে। রাইসি নির্বাচনে জয়লাভের পরে প্রথম কোনও দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে টেলিফোনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন জয়শংকর।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসেও রাইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শংকর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর কোনও বিদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে সেটাই ছিল রাইসির প্রথম সাক্ষাৎ। সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। সে দেশে লগ্নির রক্ষায় ইরানের মদত চাইছে নয়াদিল্লি। তাই এই বিষয়ে বন্ধু ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইছে ভারত।