সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ তেল কেনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। কিন্তু একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি (Hardeep Singh Puri) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, রুশ তেল কেনা নিয়ে কোনওরকম সংশয় নেই ভারতের। বরং ভারতীয় বাজারে কম দামে তেলের জোগান না থাকলে চড়চড়িয়ে বেড়ে যাবে জ্বালানির দাম, এমনটাই বলেছেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী। নীতিগত দিক থেকেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই, কারণ বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলিই এই কেনাবেচা করে থাকে।
মার্কিন সংবাদসংস্থা সিএনএনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “আমাদের সরকারের উপর কোনও চাপ নেই। দেশের স্বার্থে যা করা উচিৎ, আমাদের সরকার সেটাই করবে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, রুশ তেল কিনতে ভারতের নৈতিকতায় কি কোনও সমস্যা দেখা দেয় না? উত্তর পুরি বলেছেন, “নৈতিক দিক থেকে তো কোনও অসুবিধাই নেই। কারণ বিশেষ কোনও দেশ থেকে বেছে বেছে তেল আমদানি করা হয় না। বাজারে যে তেল পাওয়া যায়, সেটাই কেনা হয়। তাছাড়া এই বিষয়ে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।”
[আরও পড়ুন: হোটেল কাণ্ড বিরাটকে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ BCCI-এর, কী বললেন কোহলি?]
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরেই রুশ তেলের (Russian Crude Oil) দাম অনেকখানি কমে যায়। সেইসময় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। আগ্রাসী রাশিয়াকে সাহায্য করছে ভারত, এমন অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু এদিনের সাক্ষাৎকারে নৈতিকতার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ভারত যে জাতীয় স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না, সেই কথাও সুস্পষ্ট করে জানিয়েছেন হরদীপ পুরি।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, তেল কেনা নিয়ে কোনও মহল থেকেই চাপ অনুভব করছে না ভারত সরকার। তাঁর মতে, “পশ্চিমি দেশগুলি যদি রুশ তেল আমদানি করার পথ বন্ধ করে দেয়, তাহলেও আমাদের কাছে বিকল্প রাস্তা আছে। ইউরোপ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করেছি আমরা। এই বিষয় নিয়ে কোনও চাপ নেই আমাদের উপরে।” পুরির দাবি, “যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে পাল্লা দিয়ে দেশে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা বাড়বে। দেশের সকল মানুষকে জ্বালানির সুবিধা দেওয়ার কথাও মাথায় রাখতে হয়। সেই জন্য যেখান থেকে খুশি তেল কিনতে পারে ভারত। তাছাড়া কেউ তো ভারতকে বলেনি যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা যাবে না।”