সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনের শাসন নেই, দুষ্কৃতীরাজ চরম আকার নিয়েছে হিংসা বিধ্বস্ত আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়। এবার সেখানেই ঘটল ভয়ংকর ঘটনা। জোর করে স্কুলে ঢুকে ২৫ জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেল সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের একটি দল। বাধা দিলে স্কুলে ভাইস প্রিন্সিপালকে গুলি করে খুন করল তারা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আরও একাধিক জন আহত হয়েছেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে এই হামলা চলে উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার কেব্বি স্টেট অঞ্চলে। এখানকার একটি মেয়েদের বোর্ডিং অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ হামলা চালায় আততায়ীরা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের। পাশাপাশি স্কুলের আরও একাধিক কর্মী জখম হন। এই অবস্থায় স্কুলে ঢুকে ২৫ জন ছাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে জঙ্গলের পথে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই হামলা চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ায় এই ধরনের আততায়ী হামলার ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছর মধ্য নাইজেরিয়ায় অবস্থিত বেনুতে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছিল বন্দুকবাজের দল। শতাধিক গ্রামবাসীকে হত্যার পাশাপাশি একাধিক পরিবারকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই অঞ্চলটির উত্তর অংশ মুসলিম প্রধান এবং দক্ষিণ অংশটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত। ফলে মাঝে মাঝেই সেখানে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। এছাড়াও নাইজেরিয়ায় আতঙ্কের আরেক নাম জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। দেশের নানা প্রান্তে খ্রিস্টানদের উপর হামলার ঘটনায় সম্প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়ে দেন, “নাইজেরিয়ার সরকার যদি খ্রিস্টানদের রক্ষা করতে অক্ষম হয়, তবে আমেরিকার বন্দুক গর্জন করতে প্রস্তুত। আমরা ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
