সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘর্ষবিরতি লাগু হলেও ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত এখনও কাটেনি। ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হয়েছে, অস্ত্র ছাড়তে হবে হামাসকে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই অস্ত্রত্যাগ নিয়ে বিবৃতি জারি করল হামাস। জানানো হয়েছে, ইজরায়েল সেনা গাজার দখল ছাড়লে প্যালেস্টাইন সরকারের কাছে অস্ত্রসমর্পণ করবে হামাস।
হামাসের আলোচক দলের প্রধান খলিল আল হায়ার তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, 'ইজরায়েলের আগ্রাসনের কারণেই আমরা অস্ত্র ধরেছি। ইজরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করলেই আমাদের সমস্ত অস্ত্র প্যালেস্টাইন সরকারের হাতে তুলে দেব আমরা।' সংবাদসংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খলিল প্যালেস্টাইন সরকারের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেখানে প্যালেস্টাইন সরকার বলতে তাঁর চোখে একটি 'সার্বভৌম ও স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র'। খলিল বলেন, 'আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও সীমান্তে নজরদারি চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। তবে শুধু হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কোনও আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হলে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে ভয়ংকর যুদ্ধে কার্যত নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে গাজা। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই এই যুদ্ধ থামাতে উদ্যত হন। ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে বেশ কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি হলেও স্থায়ী শান্তি আসেনি। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথ দেখাতে ‘গাজা পিস প্ল্যান’ প্রস্তুত করেন ট্রাম্প। যা রাষ্ট্রসংঘে পাশও হয়ে গিয়েছে। শান্তি প্রস্তাবে যে ২০টি পয়েন্টের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গাজায় একটি অন্তর্বতী দল তৈরি হবে। তারা গাজায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শোধরানোর চেষ্টা করবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নামানো হবে আন্তর্জাতিক সেনা। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা দেখবে এই বাহিনী। চলবে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া। এর পাশাপাশি গাজায় নতুন সরকার গঠন করতেও উদ্যোগ নেবে রাষ্ট্রসংঘ।
তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক শিলমোহর পেলেও এই প্রস্তাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে হামাস। তারা জানিয়েছিল, এই উদ্যোগ প্যালেস্টাইনের মানুষের অধিকারের পরিপন্থী। বিশেষ করে, গাজায় আন্তর্জাতিক সেনা নামানোর তীব্র বিরোধী করে হামাস। নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়াও তারা মানবে না বলে জানিয়ে দেয়। এই ইস্যুতে ডামাডোলের মাঝেই এবার নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে মুখ খুলল হামাস।
