সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসেবে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, মুসলিম সমাজতান্ত্রিক নেতা জোহরান মামদানির জয় উদযাপন এখনও শেষ হয়নি। সেই সেলিব্রেশনকে আরও রঙিন করে তুলল আরেক কমিউনিস্টের জয়। মার্কিন ছাত্র রাজনীতিতে নয়া ইতিহাস গড়লেন কমিউনিস্ট তরুণী হান্না শভেৎস। ইজরায়েল বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ হান্না ইথাকা কমন কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে জয়ী হলেন। হারালেন নির্দল প্রতিদ্বন্দ্বীকে। মামদানির পর হান্নার জয়ে উচ্ছ্বসিত আমেরিকার কমিউনিস্টরা।
২০ বছরের কমিউনিস্ট তরুণী হান্না শভেৎস গড়লেন নয়া ইতিহাস।
মাত্র বছর কুড়ির তরুণী হান্না শভেৎস করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ক্যাম্পাসে পা রেখেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়েছেন। আর দ্রুত তার ফসলও ঘরে তুললেন। যে ইথাকা কমন কাউন্সিলে জয়ী হয়েছেন হান্না, তার অনেকটাই এই করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। ফলে ছাত্র রাজনীতিকে বেশ ভালোই প্রয়োগ করেছেন তরুণী। তাঁর প্রতিপক্ষ জি.পি জুরেন্ডা অবশ্য একসময় বামপন্থায় আস্থা রাখলেও পরবর্তীতে সে পথ থেকে সরে এসেছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন কমন কাউন্সিলের ভোটে। হার মানতে হয়েছে কমিউনিস্ট হান্নার কাছে। ইথাকা কমন কাউন্সিলের নির্বাচনে ১০ আসনের মধ্যে চারটিতেই জয়ী হয়েছেন করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ফলে আমেরিকার এই অংশে বামপন্থীদের পুনরুত্থান একেবারে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
ভোটপ্রচারে মামদানির মতোই হান্না তুলে ধরেছিলেন ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি। এছাড়া গৃহহীনদের অকারণে উৎখাত না করার জন্য নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন এই তরুণী। এছাড়া ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইজরায়েল বিরোধী একাধিক প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছেন হান্না। অনেকেই মনে করছে, এই মনোভাব তাঁকে জিততে সাহায্য করেছে। আপাতত প্রচারের দাবিদাওয়াগুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হান্না কাজ করতে চান। ইথাকা শহরে সাম্য প্রতিষ্ঠার ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন বছর কুড়ির তরুণী।
