সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'অপারেশন সিঁদুরে' গুঁড়িয়ে গিয়েছে একাধিক পাক জঙ্গিঘাঁটি! এরপর বৃহস্পতিবারও পাকিস্তানের অন্তত ১০ শহরে আছড়ে পড়েছে ড্রোন। পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরীর অভিযোগ, ভারত লাগাতার পাকিস্তানের আকাশসীমায় ড্রোন পাঠাচ্ছে। HAROP ড্রোন দিয়ে চলছে হামলা। ইসলামাবাদও এর যোগ্য জবাব দেবে। ইতিমধ্যে নাকি গুলি করে ১৩টি ড্রোন নামানো হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের।
কী এই HAROP?
নির্মাতা ইজরায়েল এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিস (IAI)।
দ্বিতীয় প্রজন্মের সমরাস্ত্র যা চলমান বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
দু'ভাবেই কাজ করতে পারে এটি। স্বয়ংষ্ক্রিয় এবং রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নজরদারি এবং মারণাস্ত্র, দুই কাজেই ব্যবহার করা যায়।
শত্রুর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর।
একটানা ৯ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ড্রোন।
একটানা পাড়ি দিতে পারে ১০০০ কিলোমিটার পথ।
দ্বিমুখী ডেটা লিংক থাকায় রিয়েল টাইম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
শেষ মুহূর্তে বিপদ বুঝলে আক্রমণের পথ থেকে সরে আসতে পারে হারপ। পুরনো মোডে ফিরে নজরদারি চালিয়ে যেতে পারে।
অন্ধকারে লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করার জন্য HAROP-এ রয়েছে ইলেকট্রো-অপটিক্যাল, ইনফ্রারেড এবং ফরোয়ার্ড-লুকিং ইনফ্রারেড সেন্সর, সিসিডি ক্যামেরা।
নজরদারি র্যাডারকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে ওস্তাদ
একাধিক মিশনে ব্যবহারযোগ্য। স্থল এবং জল, দুই মিশনেই সমান কার্যকর। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং যুদ্ধ সর্বত্রই সমান দক্ষতায় কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
একসঙ্গে ২৩ কেজি বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা রাখে।
রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং লুকিয়ে থাকা শত্রুকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
সিল করা ক্যানেস্তারা থেকে লঞ্চ করা সম্ভব, ফলে যে কোনও জায়গা থেকে এই ড্রোন ওড়ানো সম্ভব।
এই ড্রোন ব্যবহার করেই পাকিস্তানের করাচি, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে চলেছে হামলা। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই শহরগুলিতে।
