সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। এক নাবালিকাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল সেদেশের সিন্ধ প্রদেশে (Sindh Province)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের ওই হিন্দু নাবালিকাকে সিন্ধ প্রদেশের মিরপুর খাস জেলার নউকত মার্কেট এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় রউফ নামেক এক যুবক ও তার দলবল। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। অপহৃত নাবালিকার ছোট ভাই জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ সে তার দিদিক সঙ্গে বাজারে গিয়েছিল। সেখান থেকেই রউফ নামের এক যুবক ও তার দলবল তার দিদিকে তুলে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে, মেয়ের সন্ধানে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রমেশ ভিল। তাঁর অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা রমেশ ভিল আরও অভিযোগ করেন, কয়েকদিন পর তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে নউকত থানার পুলিশ জানায় যে ওই নাবালিকা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই মর্মে একটি শংসাপত্রও দেখায় তারা। এখনও মেয়েকে ফিরে পাননি তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন’, BBC’র পাশে দাঁড়িয়ে ভারতকে বার্তা ব্রিটেনের]
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনার খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। কখনও সেখানে হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কখনও আবার মহিলাদের উপর হয় অকথ্য নির্যাতন। বাদ পড়েনি শিশুরাও। গত বছর ১৮ বছরের তরুণী পূজা কুমারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় পাকিস্তান (Pakistan)। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। অভিযোগ, ওয়াহিদ বক্স লাশারি নামের অভিযুক্ত পূজাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সে খুন করে ওই তরুণীকে। এরপর গত জুনে সিন্ধ প্রদেশের কাজী আহমেদ শহরে অপহৃত হয় ১৬ বছরের করিনা। তাকে জোর করে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে।