সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাবুলে (Kabul)। রবিবার সকালে কাবুলের সামরিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, বিপুল সংখ্যক মানুষ এই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। তালিবানের মুখপাত্র আবদুল নাফি টাকোর এই খবর জানিয়েছেন।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুলের (Kabul Blast) সামরিক বিমানবন্দর। বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি বলেই দাবি করেছে তালিবান।তাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আজ সকালে কাবুলের সামরিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। কে কী উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে, তা জানা যায়নি।” সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে জানা গিয়েছে, আপাতত কাবুলের একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকা সিল করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: লুলার শপথগ্রহণ ‘বয়কট’, অনুষ্ঠানের আগেই দেশ ছেড়ে ‘পালালেন’ বলসোনারো]
তালিবান প্রশাসনের তরফে এই বিস্ফোরণের বিষয়ে বিশদে জানানো হয়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোম ফাটার প্রবল শব্দ শুনতে পেয়েছেন তাঁরা। বিপুল প্রাণহানির কথা জানালেও হতাহতের সংখ্যা এখনও গোপন রেখেছে তালিবান প্রশাসন। প্রসঙ্গত, তিনদিন আগেই আফগানিস্তানে একটি বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন চারজন নাগরিক। স্থানীয় প্রশাসন ভবনেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গত সপ্তাহেই বাদাখশন এলাকায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক নাগরিকের।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করার পরে তালিবান দাবি করেছিল, আগের তুলনায় দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। কিন্তু বারবার জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় বিপুলভাবে বেড়েছে জঙ্গিদের সক্রিয়তা। মতাদর্শের পার্থক্য থাকার জন্য তালিবানদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে আইসিস জঙ্গিরা। ক্ষমতায় ফিরে এসেই একের পর এক জেল থেকে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দা জঙ্গিদের মুক্তি দেয় তারা। আর আজ সেই জঙ্গিরাই নাকি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে নতুন বছরের প্রথম দিনে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি আইসিস?