সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস পাগলা কুকুর। আর পাকিস্তান তার লালন পালন করছে। এই ভাষাতেই টোকিওতে ইসলামাবাদের মুখোশ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাক দ্বিচারিতা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ৭টি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল তৈরি করেছে কেন্দ্র। বিশ্বের মোট ৩৩টি দেশে যাবে এই প্রতিনিধি দলগুলি। ইতিমধ্যেই রাশিয়া, জাপানে পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লির দূতেরা। আর সেখানে তাঁরা সোচ্চার হলেন পাকিস্তানের কুৎসিত চক্রান্ত নিয়ে।
অভিষেক বলেন, "ভারত কখনও মাথানত করবে না, আমরা এখানে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে এসেছি। আমরা মোটেও ভীত নই। আমি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা। পাকিস্তানকে যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। যদি সন্ত্রাস পাগলা কুকুর হয়, তবে পাকিস্তান তাকে লালন পালন করছে। বিশ্বে সকলকে একজোট হয়ে ওই লালন পালনকারীকে প্রতিরোধ করতে হবে। নইলে ওই লালন পালনকারী আরও পাগলা কুকুরের জন্ম দেবে। ভারত দায়বদ্ধ তাকে শিক্ষা দিতে।" ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল, সে বার্তা পাকিস্তানের কাছে পৌঁছে দিতে সোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত, জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝাঁর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাপানে পা রেখেই টোকিওতে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক-সহ সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। তারপরই তাঁরা চলে যান টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে। জাপানের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান তাকাশি এন্ডো অভিষেকদের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের পাশে থাকার কথা জানান। এরপর অভিষেকরা জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়ার সঙ্গে টোকিওতে বৈঠক করেছেন। সেখানে ভারত ও জাপানের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেছেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী। জাপানের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অভিষেকরা। জাপানের পর অভিষেকদের প্রতিনিধিদল আরও চারটি দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাবেন এবং পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন।