shono
Advertisement

রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ ইউক্রেনের, ভোটদানে বিরত ভারত-পাকিস্তান

কী পদক্ষেপ করল চিন?
Posted: 09:40 AM Nov 15, 2022Updated: 09:40 AM Nov 15, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে ফের ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনা হলে সেই ভোটাভুটিতে যোগ দিল না নয়াদিল্লি। ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে রায় দিলেও বিরোধিতা করেছে ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভারত-সহ ৭৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

Advertisement

এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে ইউক্রেন। ওই প্রস্তাবে মস্কোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে কিয়েভ। পুতিন প্রশাসনকে ধাক্কা দিয়ে ভোটাভুটিতে আমেরিকা-সহ ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোটদান করে রাশিয়া, চিন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও সিরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ-সহ ১৪টি দেশ। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইজরায়েল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ৭৩টি দেশ।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা, রাষ্ট্রসংঘে ভারত-পাক দ্বৈরথ]

রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের কর্মপদ্ধতির উপরই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব চাইলেই কি ইউক্রেনে যুদ্ধ থেমে যাবে, পালটা প্রশ্ন তুলে নয়াদিল্লি। শুধু তাই নয়, এহেন প্রস্তাবের আইনি বৈধতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে ভারত। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রস্তাব পাশ করলে কি ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও আইনি বৈধতা ছাড়া এভাবে প্রস্তাব পাশ করে ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ তৈরি করা উচিত নয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসেও মস্কোর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে দিল্লি। সেবার মিন্সক চুক্তি ও নরম্যান্ডি ফরম্যাটে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে চলা আলোচনার পক্ষে সওয়াল করে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ভারতের প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছিলেন, “ভারতের স্বার্থ হল এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা যা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। সমস্ত দেশের বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এবং এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা উচিত।”

[আরও পড়ুন: ‘সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন’, ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে মন্তব্য জয়শংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement