shono
Advertisement

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফেরাতে রাশিয়ার পাশেই ভারত, চাপে আমেরিকা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থনে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান।
Posted: 08:40 AM Nov 30, 2021Updated: 08:40 AM Nov 30, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সিরিয়ায় (Syria) শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী ভারত (India)। তবে শান্তি স্থাপনে রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটির চালিকাশক্তি হবে দেশটি খোদ। কোনওভাবেই সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা চলবে না। রাষ্ট্রসংঘের এমনটাই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে দেশটিতে বিদেশি শক্তি অরাজকতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্তারপুর সাহিবে ফটোশুট করে বিপাকে পাক মডেল, গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব অকালি দল]

বেশ কয়েকবছর থেকেই সিরিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। ফলে দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে শান্তি ফেরাতে সম্প্রতি একটি অঘোষিত বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ।

সোমবার এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি প্রতীক মাথুর বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ফেরাতে হলে দেশটির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে হবে। লাগাতার সরকার ফেলে দেওয়ার ডাক ও সশস্ত্র সংগঠনগুলিকে বিদেশি শক্তির মদত সিরিয়ায় পরিস্থিটি আরও জটিল করে তুলেছে। এর ফলে সেদেশে সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে।” বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়া ইস্যুতে আসাদ সরকারের পাশেই রয়েছে ভারত, রাশিয়া ও ইরান। এবার নয়াদিল্লির স্পষ্ট অবস্থানে আসাদ বিরোধী আমেরিকার উপর আরও চাপ বাড়ল।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থনে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। পালটা বিদ্রোহী বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’কে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেটের পতনের পর সিরিয়ায় শরণার্থীদের রক্ষা ও কুর্দ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সিরিয়ার একটি অংশ দখল করেছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে ইঙ্গিতে প্রেসিডেন্ট আসাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। রাসায়নিক হাতিয়ার ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত আগেই সাফ জানিয়েছিল, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। রাসায়নিক হাতিয়ার নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়।

[আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করার পরও মিলছে শুধু তিরস্কার, আক্ষেপ দক্ষিণ আফ্রিকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement