সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবার ভারত সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিল্লির পালাম বিমানবন্দর সাক্ষী থাকল ভারত-রুশ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের। তেল কূটনীতি, শুল্ক সংশয়, রণদামামার মাঝেই 'বন্ধু' পুতিনকে লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, পুতিনের দিল্লি পৌঁছানোর আগেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জিইয়ে রাখার জন্য নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির কথা ঘোষণা করে আমেরিকা।
দু'দিনের ভারত সফর চলছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। এই সফরের মাঝেই ফের নিজেদের বন্ধুত্ব জানান দিচ্ছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি বাণিজ্য প্রতিনিধি রিক সুইটজারের নেতৃত্বে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি দল আগামী সপ্তাহে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে আসার পরিকল্পনা করছে। যদিও, এই দলে আর কে কে থাকবেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানোর জন্য আমেরিকার সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তির জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। এই শুল্ক দেশের অর্থনীতির মূল ক্ষেত্রগুলিকে সমস্যার মুখে ফেলেছে বার বার। ভারতের তরফে বার বার বলা হয়েছে, এই বছরেই বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারে আশাবাদি তাঁরা। কিন্তু আর জন্য আগে বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো জরুরি যার সাহায্যে শুল্ক নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
পুতিন আসার আগেই, ভারতীয় নৌবাহিনীর এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টারের জন্য ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, সাত হাজার ৯৯৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্ষেত্রে দারুন খবর। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক লকহিড মার্টিনের তৈরি ২৪টি এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টারের জন্য একটি প্যাকেজ সই করেছে। ৯৪৬ মিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজ ভারতীয় নৌবাহিনীর সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।'
যদিও, পালামে নামতেই পুতিনকে জড়িয়ে ধরেন মোদি। নিজের গাড়িতে চাপিয়ে পুতিনকে বিমানবন্দর থেকে বের করেন। বুঝিয়ে দেন, মার্কিন ভ্রূকুটিতে ভীত নয় ভারত।
