সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারারাত ধরে ঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে হচ্ছে। কোনওমতেই বেরনো যাচ্ছে না। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবারও। কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছেন কিরঘিজস্তানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা। পড়াশোনার জন্য বিদেশে গিয়ে এখন তাঁদের একটাই আর্তি, দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।
কেন আচমকা এই অবস্থায় পড়েছেন ভারতীয়রা? জানা গিয়েছে, এই গোলমালের সূত্রপাত হয় গত ১৩ মে। কিরঘিজস্তানের (Kyrgyzstan) রাজধানী বিশকেকে কিরঘিজ পড়ুয়াদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে মিশরের ডাক্তারি ছাত্ররা। যার ভিডিও শুক্রবার ভাইরাল হয়। সেই দেখেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন বিশকেকের বাসিন্দারা। ওই শহরে অবস্থিত হস্টেলে হামলা চালান তাঁরা। যেখানে মূলত বিদেশি পড়ুয়ারা থাকেন। ক্ষুব্ধ জনতা ‘টার্গেট’ করছেন ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ছাত্রদের। অনুমান, সম্ভবত মিশরের পড়ুয়াদের সঙ্গে ভারতীয়দের গায়ের রঙে মিল আছে বলেই বেছে বেছে ভারতীয় পড়ুয়াদের টার্গেট করছেন স্থানীয় জনতা।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে বিস্ফোরক পাঠাচ্ছে ভারত! অস্ত্র বোঝাই জাহাজ আটকাল নয়াদিল্লির বন্ধু]
তার পর থেকেই বিদেশে মহাবিপদে পড়েছেন ভারতীয়রা। তৃতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি পড়ুয়া জানিয়েছেন, "গত ২৪ ঘণ্টা ধরে আমরা হস্টেলের সমস্ত আলো নিভিয়ে রেখেছি। ক্যান্টিনে গিয়ে খাবারটুকু জোগাড় করার উপায় নেই। আপাতত আমাদের ঘর থেকে বেরতে বারণ করা হয়েছে।" তবে সমস্যা বাড়ছে হস্টেলের বাইরে থাকা পড়ুয়াদের (Indian Students) জন্য। অনেকেই বাড়িভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁরা বেরতে পারছেন না। সেরকম এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, "এরকম চলতে থাকলে না খেতে পেয়ে মারা যাব। আর এখানে থাকতে চাই না। দেশে ফিরতে চাই দ্রুত।"
গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারতীয় পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য ২৪ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করে কিরঘিজস্তানের ভারতীয় দূতাবাস। বিবৃতি দিয়ে হস্টেলের ভিতরে থাকার পাশাপাশি ছাত্রদের নিয়মিত যোগাযোগে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে দূতাবাসের তরফে।