সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পা রেখেছে সপ্তম দিনে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার খারকভ (Kharkiv) ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হল সেখানে আটকে পড়া সমস্ত ভারতীয়কে। জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা তথা ভারতীয় সময় সাড়ে ৯টার মধ্যেই যেন ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ছেড়ে যেন নিকটবর্তী শহর পিসোচিন, বাবাই অথবা বেজলিউডিভকায় চলে যান তাঁরা। বুধবার বিকেলেই এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক।
খবর রয়েছে, ঘণ্টা চারেকের মধ্য়েই সেখানে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াবে রুশ সেনা। তার আগেই তাই সমস্ত ভারতীয়কে ওই শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, পিসোচিন খারকভের সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর। মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোও যে চ্যালেঞ্জের তা মনে করছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। কেননা নিয়মিতই বোমাবর্ষণ করে চলেছে রুশ সেনা। তাই এমনকী, পায়ে হেঁটেও সেখানে পৌঁছতে হলে যে কাঠখড় পোড়াতে হবে, তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনীয়দের ‘ইরানি’ বলে সম্বোধন বাইডেনের, কিন্তু কেন?]
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৫২ জন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫টি বিমান ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরেছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই নয়াদিল্লি নেমেছে ৬টি বিমান।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) সপ্তম দিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও এক ভারতীয়। সূত্রের খবর, তিনি পাঞ্জাবের (Punjab) পড়ুয়া। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ভিনিৎসিয়ার এক হাসপাতালে তিনি অসুস্থ হয়ে ভরতি ছিলেন। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম চন্দন জিন্দল। বয়স ২২ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বভাবতই শোকাহত পরিবার। চন্দন জিন্দলের বাবা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দ্রুত তাঁর দেহ ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন।