সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যি হল প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা। শনিবার ভোরে তেল আভিভ কেঁপে উঠল ইরানের মিসাইলের আঘাতে! রাতের আকাশ নেমে আসতে দেখা গেল আগুনের মরণগোলা। কেবল ইজরায়েলের রাজধানীই নয়, বিস্ফোরণ শব্দ শোনা গিয়েছেজেরুজালেমেও। শোনা গিয়েছে সাইরেন বাজার তীব্র শব্দ। শুক্রবার ইরানে হামলা করেছিল ইজরায়েল। সেই সময় থেকেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে ৬৫ মিনিটে ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল ইরান। এমনটাই দাবি, সংবাদমাধ্যমের। এরপর ফের ইজরায়েল পালটা হামলা চালিয়েছে।
ইরানের তেল আভিভে এই অপারেশনের নাম রেখেছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’। তেহরানের দাবি, তাদের মূল লক্ষ্য ইজরায়েলের সেনাঘাঁটিগুলিই। এদিনের অপারেশনে এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আহত ৩৪। এদিকে ইজরায়েল শুক্রবার ইরানের ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় 'অপারেশন রাইজিং সান' চালিয়েছে। শনিবার ফের ইরানকে পালটা দিল তারা। সব মিলিয়ে তাদের এই হামলায় অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৩২০।
ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি এবং ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডারের। প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও পারমাণবিক গবেষণাকারী অন্তত ৬ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। বহু সেনাকর্মী এবং আধিকারিকেরও মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি হামলায়।
ইরান এবং ইরাক নিজেদের আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিমান পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ। একাধিক উড়ান সংস্থা নিজেদের বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের পরস্পরের উপরে ইরান ও ইজরায়েলের হামলা চালানোর ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ আরও শ্বাসরোধী আকার নিয়েছে।
