সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের মাটিতে ফের নিখুঁত ড্রোন হামলা। ইজরায়েলের মারণ হামলায় মৃত্যু হল আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানীর। জানা যাচ্ছে, এদিন ওই বিজ্ঞানীর বাড়ির ভিতর ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যার জেরে মৃত্যু হয় ওই বিজ্ঞানী ও তাঁর স্ত্রীর। এই নিয়ে ইজরায়েলের হামলায় ইরানে মৃত্যু হল ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীর।
ইরানের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত ওই পরমাণু বিজ্ঞানীর নাম সইদ ইসার তাবাতাবায়েই। জানা গিয়েছে, ওই পরমাণু বিজ্ঞানী ইরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইরানের পরামাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। যার জেরেই ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হিটলিস্টে ছিলেন তিনি। সম্প্ররতি তাঁর বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। যার জেরেই মৃত্যু হয় ইসার ও তাঁর স্ত্রীর।
ইজরায়েলের দাবি ছিল পরমাণু বোমা তৈরির একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ইরান। অন্তত ১৫ দিনের মধ্যে তারা বোমা তৈরি করে ফেলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে ১৩ জুন ইরানের মাটিতে সুপরিকল্পিত হামলা চালায় ইজরায়েল। ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলার পাশাপাশি সেখানকার শীর্ষ স্থানীয় সেনা আধিকারিক ও ৯ পরমাণু বিজ্ঞানীকে খতম করা হয়। এই হামলা প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী বলেন, "আমরা যা খবর পাচ্ছি তাতে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির সম্ভাবনাকে অন্তত দুই থেকে তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ প্রসঙ্গে সার বলেন, "আমাদের জন্য যা ঝুঁকিপূর্ণ, সেই বিপদ এড়াতে আমাদের যা যা করণীয় সবটাই করব।"
এদিকে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে আলোচনায় বসাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামপ। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে দু’দেশের। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে লাগাতার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন তিনি। যদিও ইরানের দাবি, হুমকি দিয়ে আলোচনার টেবিলে তাদের বসাতে পারবে না আমেরিকা!