সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে থামছে না ইজরায়েলি হানা। বেইরুটে ইজরায়েলের হামলায় লক্ষ্য ছিল হেজবোল্লার এক শীর্ষ নেতা। হেজবোল্লা নিশ্চিত করেছে, সংগঠনের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার টার্গেটেই আক্রমণ হয়েছিল। জানা গিয়েছে, রবিবার বেইরুটে ইজরায়েলের বিমান হামলায় হেজবোল্লার গুরুত্বপূর্ণ নেতা হাইথাম আলি তাবাতাবাই নিহত হয়েছে।
ইজরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাবাতাবাই আসলে ইরানের সাহায্যপ্রাপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর হেজবোল্লার চিফ অফ স্টাফ ছিল। হেজবোল্লার গুরুত্বপূর্ণ রাদওয়ান ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন এই নেতা। ইজরায়েলের উপর আক্রমণের দায়িত্ব ছিল এই ইউনিটের উপর। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, আইডিএফ 'বেইরুটের কেন্দ্রে' তাবাতাবাইকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
তাবাতাবাইয়ের জন্ম ১৯৬৮ সালে বেইরুটে। তাঁর মা দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দা ছিলেন। বাবা জন্মসূত্রে ইরানের মানুষ। দক্ষিণ লেবাননে বড় হওয়া তাবাতাবাই ১২ বছর বয়সে হেজবোল্লায় যোগ দেন। ২০১৫ সালে, দক্ষিণ সিরিয়ায় তাবাতাবাইকে হত্যার চেষ্টা করে ইজরায়েল। সেই হামলায় হেজবোল্লা কমান্ডার ইমাদ মুঘনিয়ের ছেলে জেহাদ মুঘনিয়ে নিহত হন। ২০২৪ সালের শেষের দিকে হেজবোল্লার নেতৃত্বে থাকা বেশিরভাগ নেতাকে হত্যা করে আইডিএফ। এরপরেই নেতৃত্বের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন তাবাতাবাই।
২০১৬ সালে তাবাতাবাইকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করে আমেরিকা। তাঁর মাথার দাম ধার্য হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। হেজবোল্লা নিশ্চিত করেছে, সংগঠনের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার টার্গেটেই আক্রমণ হয়েছিল। যদিও ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র লক্ষ্যবস্তুর নাম বলতে অস্বীকার করেছে। যদিও আইডিএফ জানিয়েছে, বেইরুটে নির্দিষ্ট জায়গায় আক্রমণ চালিয়ে তাবাতাবাইকে নিকেশ করা হয়েছে।
ইজরায়েলের হামলার কথা জানানোর পর লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিমান হানায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২১। যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়তে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইজরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, এটি নিহত-আহতের 'প্রাথমিক সংখ্যা'। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলিতে জনবহুল এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। মৃতদের শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানানো হয়।
