সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জইশের মহিলা ব্রিগেডের জঙ্গিরা 'মৃত্যুর পরে স্বর্গে' যাবে। এই বার্তাই দিয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। তার দাবি, ভারতীয় সেনায় যোগ দিচ্ছেন মহিলারা। 'কম্ব্যাট রোল' অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। তার দাবি, একে প্রতিহত করতেই জইশে দরকার মহিলা ব্রিগেড। জামাত-উল-মোমিনাতে মহিলাদের যোগদান এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে বিশদে জানিয়েছে মাসুদ।
মাসুদের ২১ মিনিটের বার্তায় জইশের মহিলা ব্রিগেডের প্রশিক্ষণ-সহ অন্যান্য বিষয়ের রূপরেখার বর্ণনা রয়েছে। জইশের পুরুষ ব্রিগেডের মতোই মহিলা ব্রিগেডকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানায় জইশ প্রধান। মাসুদের কথায়, পুরুষ জঙ্গিরা ১৫ দিনের 'দৌরা-ই-তারবিয়াত' প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। তেমনি জামাত-উল-মোমিনাতে যোগ দেওয়া মহিলারাও 'দৌরা-ই-তাসকিয়া' নামের একটি প্রশিক্ষণ নেবে। প্রথম পর্বে পাশ করলে দ্বিতীয় পর্বের প্রশিক্ষণ দৌরা-আয়াত-উল-নিশা শুরু হবে। এই প্রশিক্ষণ ভাওয়ালপুরের মারকাজ উসমান-ও-আলিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জইশে যোগদানের প্রথম পর্ব দৌরা-ই-তারবিয়াত। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজে অংশ নিলে মৃত্যুর পরে তারা স্বর্গে যাবে, এই কথাই শেখানো হয় এই পর্বে। মাসুদ জানায়, যেসব মহিলারা জামাত-উল-মোমিনাতে যোগ দেবে, তারাও মৃত্যুর পরে সরাসরি স্বর্গে যাবে। মাসুদ বলে, পাকিস্তানের সব জেলায় জামাত-উল-মোমিনাতের শাখা খুলবে জইশ।
নিজেদের পন্থা বদলে মহিলাদের সংগঠনে যুক্ত করলেও তাদের উপরে কড়া নিয়মের বাঁধন রাখতে চলেছে জইশ। মাসুদ জানায়, মহিলা ব্রিগেডে যারা যোগ দেবে, তারা নিজেদের স্বামী অথবা পরিবার বাদ দিয়ে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে ফোন অথবা অন্য কোনও উপায়ে যোগাযোগ করতে পারবে না।
জানা গিয়েছে, এই মহিলা ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেবে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়া আজাহার। অপারেশন সিঁদুরে সাদিয়ার স্বামী ইউসুফের মৃত্যু হয়। এই ব্রিগেডে ইতিমধ্যেই নাম লেখানো শুরু করেছে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের স্ত্রীরা। পাশপাশি, ভাওয়ালপুর, করাচি, মুজফফরাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে জইশ।
