সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সে ‘টুইটার কিলার’। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তাঁরা হয়ে উঠতেন তার ‘টার্গেট’। জাপানের মানসিক বিকারগ্রস্ত সেই খুনিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল শুক্রবার। ২০১৭ সালেই তাকাহিরো শিরাইশিকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত।
ঠিক কী করত এই কুখ্যাত খুনি? অবসাদে ভোগা আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ‘টুইটার কিলার’ তাদের জানাত, সে তাঁদের সাহায্য করতে পারে নিজের জীবন শেষ করার ব্যাপারে। কিংবা কখনও এমনও বলত, সেও আত্মহত্যা করবে তাঁদেরই সঙ্গে। তার সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেই হত সর্বনাশ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাঁদের খুন করত তাকাহিরো। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ন’জনকে খুন করেছে এই যুবক। একজন বাদে সকলেই কিশোরী অথবা তরুণী। বয়স ১৫ থেকে ২৬-এর মধ্যে।
আদালতে তাকাহিরোকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কারাবাসের সাজা শোনানোর আরজি জানাতে থাকেন তাঁর আইনজীবীরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিহতরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। নিজেদের মৃত্যুতে তাঁদের সায় ছিল। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, আক্রান্তদের কেউই তাকাহিরোকে খুন করার অনুমতি দেননি। এবং নীরব সম্মতিও নয়। এরপরই আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। অবশেষে কার্যকর হল সেই ফাঁসি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শেষবার ফাঁসি হয়েছিল জাপানে। ন্যায়মন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানিয়েছেন, এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তবে অপরাধীর অত্যন্ত স্বার্থপর উদ্দেশ্যে সমাজে বিরাট ধাক্কা ও অস্থিরতা সৃষ্টির দিকটি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
