সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নতুন সিদ্ধান্ত। কমছে মন্ত্রীদের মাইনে। মঙ্গলবারই হতে চলেছে সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে, নবনির্বাচিত জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নিজের এবং তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বেতন কমানোর জন্য আইনের সংশোধনী আনতে চলেছেন। জাপানি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নতুন নিয়মে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের মাইনের পরে পাওয়া অন্যান্য ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, জাপানের মন্ত্রীদের মাসিক বেতন প্রায় সাত লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী অতিরিক্ত ছয় লক্ষ টাকা পান। মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীরা দুই লক্ষ টাকা ভাতা পান। ব্যয় কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, প্রধানমন্ত্রী অতিরিক্ত বেতনের ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা ২০ শতাংশ ফেরত দেন। এর ফলে তাঁদের ভাতা যথাক্রমে প্রায় দুই লক্ষ টাকা এবং ৬৩ হাজার টাকা কমেছে। জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সচিব মিনোরু কিহারা এই খবর জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন জোটসঙ্গি জাপান ইনোভেশন পার্টির সমর্থন পেয়েছে। তাঁরা মন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি এই প্রস্তাবটির সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর দ্য পিপলের নেতা ইউইচিরো তামাকি।
প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে বেশ কয়েকটি কঠিন বিষয়ের মোকাবিলা করা তাকাইচির কাছে চ্যালেঞ্জের। এই মুহূর্তে অভিবাসী সমস্যায় জর্জরিত জাপান। সেইসঙ্গে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। আয়-ব্যয়ের বিষয়ে নাকি তাকাইচি বেশ কঠোর। অকারণ ব্যয় তিনি যেমন পছন্দ করেন না, তেমন জনতার হাতে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান থাকা জরুরি বলেও মনে করেন। এই দুয়ের সামঞ্জস্য বজায় রেখে আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।
