সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৯ সালে রক্তক্ষয়ী কার্গিল যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে ২৬ বছর। তৎকালীন পাক সরকারের দাবি ছিল, কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার কোনও হাত নেই। কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, মুজাহিদিনরাই অনুপ্রবেশ করেছিল ভারতে। কিন্তু গত বছরই পাকিস্তান স্বীকার করে নিয়েছিল, পাকিস্তানি সেনাই ছিল কার্গিল যুদ্ধে। এবার কার্গিলের ‘শহিদ’ ক্যাপ্টেন কর্নেল শের খান শহিদকে স্বীকৃতি দিল তারা। যা ফের পাকিস্তানের 'ভণ্ডামি'কেই প্রকট করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির শের খানের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। 'অটল সাহসের প্রতীক' বলে বর্ণনা করেন তাঁকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই স্বীকৃতি অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে কীভাবে একসময় নিজের দেশের মাটিতেই তাঁকে কবরস্থ হতে দিতে চায়নি তৎকালীন পাক সরকার। পরিষ্কার প্রমাণ মেলা সত্ত্বেও শের খানের দেহ নিতেই চায়নি ইসলামাবাদ।
কার্গিলে যে পাক সেনার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল, তা পরিষ্কার হয়ে যায় গত বছরই। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দিবসে মুনিরকে বলতে শোনা যায়, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধে আমাদের কয়েক হাজার সেনা আত্মবলিদান দিয়েছেন।” উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে রক্তক্ষয়ী কার্গিল যুদ্ধ হয়। একটানা তিন মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে তীব্র লড়াই। শত্রু মোকাবিলায় ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করে ভারতীয় সেনা। যুদ্ধে অসংখ্য জওয়ান শহিদ হন। তাঁদের বলিদানের বিনিময়েই যুদ্ধে জয়ী হয় ভারত। যদিও তৎকালীন পাক সরকার দাবি করে, কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার কোনও হাত নেই। কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, মুজাহিদিনরাই অনুপ্রবেশ করেছিল ভারতে। পাকিস্তানি সেনা কেবলমাত্র সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। কার্গিল যুদ্ধের পর পাকিস্তান তাদের সেনাদের মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেছিল। নিহত পাক সেনাদের শেষকৃত্য হয় ভারতে।
