সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একফ্রেমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু এরপরই দেখা গিয়েছে এক আশ্চর্য দৃশ্য। কিমের ডিএনএ মুছে ফেলছেন তাঁর কর্মীরা!
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কিমের ব্যবহৃত চেয়ারের হাতল কিংবা যে কাচের গ্লাসে তিনি জল খেয়েছিলেন সেই গ্লাস ইত্যাদি সবই মুছে ফেলা হচ্ছে। এমনকী, অন্য যেসব আসবাব স্পর্শ করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক, সবই মুছে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য, কিমের ডিএনএ চিন থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
কিন্তু কেন এরকম প্রয়াস? সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর কিংবা চিনের নজরদারি এড়াতেই এই পদক্ষেপ। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, কিমের ক্ষেত্রেই কেবল নয়। পুতিনের ক্ষেত্রেও এমন সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। গত আগস্টে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেই বৈঠকের পরে জানা গিয়েছে এক অদ্ভুত তথ্য। ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কা শীর্ষ বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীরা সঙ্গে আনেন এক বিশেষ ব্যাগ। এই ব্যাগেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুতিনের ‘মল’। ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুতিন এই অভ্যাস চালু রেখেছেন বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও তথ্য যাতে ফাঁস না হয় সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ের ৮০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজের সাক্ষী থাকতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশেই দেখা গিয়েছে কিম ও পুতিনকে। এতে চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সটান ‘আক্রমণের তির’ শানিয়েছেন জিনপিংয়ের দিকে। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই একত্রিত হয়েছেন তিন রাষ্ট্রনেতা!
