সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের একনায়কতন্ত্রের জেরে ভয়ংকর সংকটের সেদেশের বিচার ব্যবস্থা। পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদে এবার ইস্তফা দিলেন লাহোর হাই কোর্টের বিচারপতি শামস মেহমুদ মির্জা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। সবমিলিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে শক্তিশালী করতে শাহবাজের পাশ করা বিল চরম অচলবস্থা তৈরি করল পাকিস্তানে।
শাহবাজ শরিফ ও আসিম মুনির জুটির কবলে এমনিতেই নিষ্পেষিত পাকিস্তানের গণতন্ত্র। নিজেদের মর্জিমতো সমস্ত কিছু করায়ত্ব করতে সংবিধানে বদল এনেছে শাহবাজ সরকার। সংবিধান সংশোধন করে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের জন্য আনা হয়েছে বিশেষ রক্ষাকবচ। ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের। নয়া সংশোধনে সংবিধান সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে সাংবিধানিক আদালতে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই ব্যবস্থা দেশের গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে এবং সেনাকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যাতে পাক সেনাবাহিনী দেশে স্বেচ্ছাচারিতা চালাতে পারে। এরই প্রতিবাদে পদত্যাগ করছেন একের পর এক বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদ সংশোধন সংক্রান্ত বিল পাশ করে শাহবাজ সরকার। এর ফলে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল থেকে মুনির হলেন সেনা সর্বাধিনায়ক বা চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস। এর আগে এরকম কোনও পদ পাক সেনাবাহিনীতে ছিল না। সংবিধান সংশোধনের করে নতুন এই পদ সৃষ্টি করা হল। এর পাশাপাশি নতুন বিলে মুনিরের জন্য বিশেষ আইনি রক্ষাকবচও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই সংশোধনীতে সই করেছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করেন বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলি শাহ এবং বিচারপতি আথার মিনাল্লাহ। এবার পদত্যাগ করলেন লাহোর হাই কোর্টের বিচারপতি।
