সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন সংবাদমাধ্যমও। তাদের দাবি, যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দর কষাকষি করেছেন, তা দেখে শেখা উচিত অন্য বিশ্বনেতাদের।
সিএনএন-এর বর্ষীয়ান সাংবাদিক উইল রিপ্লে বলছেন, ''এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার অত্যন্ত সদর্থক বৈঠক আমরা দেখেছি। একই ভাবে অত্যন্ত সদর্থক বৈঠক করতে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও। এটা বিশ্বের অন্য নেতাদের কাছে একটা 'মাস্টারক্লাস'। যা দেখে তাঁরা বুঝে নিতে পারবেন কী করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দরাদরি করতে হয়।''
এক্স হ্যান্ডলেও তিনি লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। অথচ এটা খারাপ দিকে যেতে পারত। উনি ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকাকালীনই ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্কের ঘোষণা করেছেন। বাণিজ্যের এই সংঘাতের সময়ও উভয় পক্ষ সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি, জ্বালানি, সামরিক বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিগা প্লাস মাগা ইজ ইকুয়াল টু মেগা, ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চতুর ব্র্যান্ডিং। অন্য নেতারা দেখে শিখুন।' প্রসঙ্গত, সেদিনের বৈঠকশেষে মোদি বলেন, ”প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায়ই বলেন ‘মাগা’র কথা। আর ভারতে আমরা বিকশিত ভারতের কথা বলি। অর্থাৎ মার্কিন ধারা অনুসারে সেটাকে বলা যায় ‘মিগা’। আর একসঙ্গে মিলে ভারত ও আমেরিকা উন্নতির লক্ষ্যে একটি ‘মেগা’ জোট তৈরি করবে।”
প্রসঙ্গত, মোদিতে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমার থেকে অনেক ভালোভাবে, অনেক শক্ত হয়ে দর কষতে পারেন মোদি। ওঁর ধারেকাছেও নেই আমি।” মোদিকে মহান নেতা বলেও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সুরই বজায় রাখল মার্কিন সংবাদমাধ্যমও।
উল্লেখযোগ্য, বৈঠকের আগেই অবশ্য ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এবার পারস্পরিক শুল্ক আরোপের পথে হাঁটবে আমেরিকা। যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, এর প্রভাব ভারতের উপরেও পড়তে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের মেজাজ কেমন থাকবে, সেই প্রশ্ন ছিলই। কিন্তু কূটনৈতিক দুনিয়ায় শেষপর্যন্ত দেওয়ানেওয়ার গল্পে কে কী পেল সেটাই আসল। সেক্ষেত্রে বৈঠক থেকে দিল্লির প্রাপ্তি কী হবে তা নিয়েই ছিল আলোচনা। শেষপর্যন্ত দেখা যায় ভারতের প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং আরও বহু কিছুই।