সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে শুরু থেকেই ইজরায়েলকে সমর্থন যুগিয়েছে আমেরিকা। এমনকী রবিবার তেহরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রশ্ন উঠছে, কেন ইরানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ? তাহলে কি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে নিকেশ করে ইরানে মোল্লাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে চাইছে পেন্টাগন? মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে 'পুতুল সরকার' গঠনই কি লক্ষ্য? যাতে করে তেলের ভাণ্ডারগুলির উপরও পাশ্চাত্যের নিয়ন্ত্রণ থাকে?
গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। এই অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় (ভারতীয় সময়) এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানাল, ইরানের রাজনৈতিক কাঠামো বা শাসনব্যবস্থাকে বদলে দেওয়া তাদের মিশনের উদ্দেশ্য নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেঠ এই বিষয়ে বলেন, "এই মিশন (ইরানের) শাসনব্যবস্থাকে পরিবর্তনের জন্য ছিল না।"
হেগসেঠ আরও দাবি করেন, ইরানকে পরমাণু শক্তিধর হতে না দেওয়াই আমেরিকার লক্ষ্য। তিনি বলেন, "ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মার্কিন সেনা এবং আমাদের বন্ধু ইজরায়েলের জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকির। ওদের আণবিক অভিসন্ধী যাতে নিষ্ক্রিয় করা যায়, সেই সঙ্কল্পেই একটি নির্ভুল অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি (ট্রাম্প)।"
প্রসঙ্গত, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, বহুবার মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও আজ পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি। এরমধ্যেই ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ, মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে। বিশেষজ্ঞের দাবি, দশকের পর দশক ধরে ইরানে মোল্লাতন্ত্র কায়েম রয়েছে। নেতৃত্বে খামেনেই। ক্রমশ জ্বালানি তেলের ভাণ্ডার ইরান বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ইজরায়েল, আমেরিকা-সহ পশ্চিম বিশ্বের একাধিক দেশের জন্যে। মরুদেশের শক্তিধর দেশটির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো মানে মধ্যপ্রাচ্যের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ঠিক সেই কারণেই খামেনেইকে নিকেশ করে ইরানের মোল্লাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে চাইছে পেন্টাগন। গণতন্ত্র কিংবা নিদেন রাজতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেওয়াই উদ্দেশ্য। যদিও রবিবার প্রকাশ্যে সেই দাবি মানল না ওয়াশিংটন।
