সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় এক দশক হয়ে গেল কার্যত কোমায় চলে গিয়েছে সার্ক গোষ্ঠী। ওই বছর ইসলামাবাদে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সদস্য দেশগুলির। তবে উরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে সেই বৈঠক বয়কট করে ভারত। তারপর থেকে সেই অর্থে কোনও বড় পদক্ষেপ করেনি গোষ্ঠীটি। এবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত সের্গিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। প্রশ্ন উঠছে নতুন 'বন্ধু' পাকিস্তানের জন্যই কি এমন পদক্ষেপ তাঁর?
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝেই তিনি মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। জানা গিয়েছে, সার্কের অচল হয়ে থাকা নিয়েই কথা তাঁদের মধ্যে। বলে রাখা ভালো, শিগগিরি আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভারতে নিযুক্ত হবেন গোর। পাশাপাশি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ রাষ্ট্রদূতও হবেন তিনি। তাই আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে সার্ক নিয়ে কথা বলে আসলে পাকিস্তানের দিকটিই তুলে ধরতে চাইছেন ইউনুস, এমনটা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। মনে করা হচ্ছে, সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই তাঁর এমন পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য. দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ মিলে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে তৈরি হয়েছিল ‘সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন’ বা সার্ক গোষ্ঠী। সদস্য দেশ–ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটান। তবে গোড়া থেকে সদস্য দেশগুলির মধ্যে দেখা দেয় মতানৈক্য। ২০১৪ সালে শেষবার কাঠমান্ডুতে আয়োজিত হয় সার্ক সম্মেলন। কিন্তু উরি হামলার পর ভারত পরিষ্কার করে দেয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবে না নয়াদিল্লি।
তবে এরপরও ওই গোষ্ঠীর সদস্যপদ ছাড়েনি ভারত। এই পরিস্থিতিতে সার্ক নিয়ে ইউনুস-গোর বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠছে, এবার কি ট্রাম্প মধ্যস্থতা করতে চাইবেন সার্ক বিষয়েও? আপাতত আমেরিকা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা।
