সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি হামাস নেতাদের খতম করতে কাতারের রাজধানী দোহায় গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েলি সেনা। কিন্তু সেই হামলায় মত ছিল না খোদ ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাতারে হামলা চালায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
সূত্রের খবর, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া জানিয়েছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ কাতারের সঙ্গে মোসাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে পারে। যা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক। যদিও এই হামলার সাফাই দেয় ইজরায়েল। জানায়, হামাস নেতারা দোহায় এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল। তাদের খতম করার এটাই ছিল সুবর্ণ সুযোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার কোনও ইচ্ছাই নেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। কারণ, তিনি ধৈর্য হারিয়েছেন। তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পড়েছে নেতানিয়াহু।
হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে নেমেছে ইজরায়েল। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গোপন অভিযানে একের পর এক শীর্ষ হামাস নেতাকে খতম করা হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে ইরান ও কাতারে আশ্রয় নিয়েছে বহু হামাস নেতা। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার দোহার একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েল। এই অভিযানে হতাহতের তথ্য এখনও সামনে আসেনি। ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘হামাসের উচ্চপদস্থ নেতাদের খতম করতে আইডিএফ এবং ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি (আইএসএ) দোহায় অভিযান চালিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, হামাসের এই সদস্যরা সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নৃশংস গণহত্যার জন্য তারা সরাসরি দায়ী। পাশাপাশি, ইজরায়েলর বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ জারি রেখেছে।’ এদিকে হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছে কাতার। জানানো হয়েছে, ‘ইজরায়েলের এই হামলা কাপুরুষতার পরিচয়। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।’
