সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়ারে জেহাদি হামলায় রক্তাক্ত আমেরিকা! জানা গিয়েছে, নিউ অর্লিন্স শহরে নতুন বছরের সেলিব্রেশন চলছিল। ভিড় জমিয়েছিলেন আট থেকে আশি সকলেই। সেই উৎসব উদযাপনের মাঝেই ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। পিষে দেয় বহু মানুষকে। শুধু তাই নয়, ভিড়ের মধ্যে গুলি চালানো হয় বলেও খবর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। আহত ৩০।
সিএনএন সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে নিউ অর্লিন্সের বোরবন স্ট্রিটে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সকলে। এই রাস্তাটি 'নাইট লাইফে'র জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। কিন্তু বছরের প্রথম দিনই হামলায় রক্তাক্ত হল বিখ্যাত এই জায়গা। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এদিন ভিড়ের মধ্যে একটি ট্রাক হঠাৎই ঢুকে পড়ে। রাস্তায় বহু মানুষকে পিষে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। অনেকে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন। গুলিও চলে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী কেভিন গার্সিয়ার কথায়, "আমার পায়ের কাছেই একটি দেহ উড়ে এসে পড়ে। ওখানে গুলিও চলেছিল।"
উল্লেখ্য, ২৫ ডিসেম্বরের আগেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ম্যাগডেবার্গ শহরে। সেখানকার ক্রিসমাস মার্কেটে তখন প্রচুর মানুষের ভিড়। সকলেই ব্যস্ত কেনাকাটায়। এমন সময় ওই বাজারে ঢুকে পড়ে একটি বেপরোয়া গতির কালো রঙের বিএমডব্লু। টাউন হল স্কোয়ারের কাছে পৌঁছনোর আগে ওই রাস্তা দিয়ে অন্তত ৪০০ মিটার এগিয়ে যায় ঘাতক গাড়িটি। ধাক্কায় এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন অনেকে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা রাস্তা রক্তে ভেসে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। কিন্তু অভিযুক্ত বেশি দূর পালাতে পারেননি। তাকে ধরে ফেলে পুলিশবাহিনী। জানা যায়, ধৃত বছর পঞ্চাশের চিকিৎসক সৌদি আরবের নাগরিক। তবে ২০০৬ সাল থেকে তিনি জার্মানিতে বসবাস করছেন। এই হামলার মোটিভ জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ‘লোন অ্যাটাকার’। তিনি একাই হামলা চালিয়েছিলেন। এবার উৎসবে একইভাবে রক্তাক্ত হল আমেরিকা।